জাতির পিতা
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
পিতা,
তুমি একবার এসে দেখে যাও, আমরা ভাল নেই,
হায়েনার দল রক্ত ঝরায়, নগ্ন থাবাতে -ই,
বারবার ওরা খামচে ধরে জাতির পতাকা,
যেই পতাকায় পিতা তোমার স্বপ্নগুলি আঁকা।
জানি পিতা ভবে তুমি আসবে না আর ফিরে,
পদ্মা, মেঘনা, কিংবা যমুনার তীরে।
তবু তোমার বজ্রবাণী যে খুব প্রয়োজন,
কৃষক বাইছে হাল,
মাঝি তুলছে পাল,
দোকানী খুলছে দোকান,
আমরা চাই মুক্তির সোপান,
হে পিতা,
তুমি আবার শুনিয়ে যাও তোমার বজ্রকণ্ঠের বাণী,
"এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"
"এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম"
হে পিতা,
তোমার ঐ বজ্রকণ্ঠের আহবান আজো কানে বাঁজে,
যে কণ্ঠ আজো বাংলার মাঠে-ময়দানে,
বিশ্বের প্রান্তরে প্রতিধ্বনিত হয়,
যে কণ্ঠ শুনে আজো শুকুনের দল প্রকম্পিত হয়।
হে পিতা,
তোমার ঐ বলিষ্ঠ কণ্ঠের প্রতিধ্বনিতে
ময়দানে উজ্জীবিত হয় বীর সেনানীরা,
তুমি দেখে যাও
তোমার মুক্তি সেনারা আজো বেঁচে আছে,
যাদেরভবুকের সবটুকুন জুড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,
হে পিতা তুমি ভেবোনা,
আমরা তোমার সোনার বাংলার, সোনার ছেলেরা
তোমার আদর্শকে ধারণ করি,
সোনার বাংলার জন্য আজো অস্ত্র ধরি,
আমরা, বীর মুক্তিসেনার কৃশকায় বক্ষের প্রতিটি শিরা উপশিরার
নিঃস্বার্থ-অকৃত্রিম উচ্চারিত চিৎকারে একাত্ম হয়ে বলি,
"জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।"
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী,
হে কিংবদন্তি নেতা,
হে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান,
হে বাংলার অধিপতি,
বাঙ্গালী জাতিসত্তার অহংকার,
হে বঙ্গপিতা,
আমরা কি আর একটি বার শুনতে পাবো?
তোমার সেই গগনবিদারী হুংকার,
আবার কি শুনতে পাবো,
তোমার সেই আকাশস্পর্শী মুক্তির গর্জন।
যেই গর্জনে,
বাংলার প্রান্তরে নেমে পড়বে প্রকৃত মুক্তিকানীরা,
যে গর্জনে
হটে যাবে যতো সব কুচক্রী মহল,
যে গর্জনে
পলায়ন করবে বর্তমান মোস্তাকেরা।
হে পিতা,
আজকের মোসতাকেরা,
ধুলায় মিশিয়ে দিতে চায় তোমার স্বপ্নের বাংলা,
কেউ প্রকাশ্যেই জিন্দাবাদ স্লোগান দেয়,
কেউ বা ছদ্মবেশে ঢুকে পরেছে মুক্তিকামীর দলে।
হে পিতা,
আজকে বড়ই প্রয়োজন তোমার সেই,
বজ্রকণ্ঠের গর্জন,
যে গর্জনে ভয়ে দেশ ছাড়বে মোস্তাকের দল।
মুক্ত বাতাসে উড়বে জাতির পতাকা,
যেই পতাকায় পিতা তোমার স্বপ্নগুলি আঁকা।