চারপাশে ভেসে বেড়াচ্ছে উত্তপ্ত তাজা রক্তের ঘ্রাণ,
স্বজনদের আর্তনাদে কাঁদছে ওই আসমান।
মেঝেতে ছড়ানো জুতা রক্তে রাঙ্গা,
ভাসালে খাতা-কলম, বহালে গঙ্গা ,
সন্তানহারা মায়ের বুকফাটা আর্তনাদে
কাঁদে আকাশ কাঁদে বাতাস, শোকে স্তব্ধ পাহাড়
রক্তাক্ত পেশোয়ার
তোমারা মানুষ না জানোয়ার?
রক্তাক্ত পেশোয়ার,
তোমারা মানুষ না জানোয়ার?
শত শত মায়ের বুক, করলে কেন উজার?
দাবি কর মানুষ তোমরা
জম্ম মানব কুলে,
জানোয়ারও এমন কাজ করেনাতো ভুলে।
বনের পশুও তোদের নিকট
মেনে গেছে হার,
তোমারা মানুষ না জানোয়ার?
রক্তাক্ত পেশোয়ার,
তোমারা মানুষ না জানোয়ার?
একসাথে সোজা উপরে ফেললে!
মুকুলিত একশো বত্রিশটি তাজা গোলাপ!
কিসের নেশায় এমন করলে?
বলতে পারো, হায়েনার দলেরা,
কি ছিল ওদের পাপ?
দাবি তো কর মুসলমান
তোমরা আবার ইসলাম কায়েম করবে?
ইসলামে কি এসব আছে?
তোমাদের মত এমন ভাবে রক্ত খেয়ে
প্রয়োজন নেই ইসলাম প্রতিষ্ঠার।
রক্তাক্ত পেশোয়ার,
তোমারা মানুষ না জানোয়ার?
নিস্পাপ, জান্নাতী শিশুদের রক্ত খেয়ে
তোমরা জিহাদ করছ?
তোমরা আর কত ইসলামের ক্ষতি করবে?
তোমাদের কে এমন শিক্ষা দিল?
তোমাদের কানে কবে পৌছবে, বাণী মানবতার
তোমাদের ঐ বধির কর্নে পৌছে না কি বিপন্ন চিত্কার?
রক্তাক্ত পেশোয়ার
তোমারামানুষনাজানোয়ার?
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ কবি পরিষদ
সিঙ্গাপুর শাখা।